Friday, September 7, 2018

বাংলাদেশের অর্থনীতির উন্নতিতে ফ্রিল্যান্সিং এর ভুমিকা

আজ কাল “ফ্রিল্যান্সিং পেশা” বাংলাদেশসহ পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। ইন্টারনেট ও প্রযুক্তির ব্যাপক সহজলভ্যতা এবং ব্যবহারের ফলে মানুষ এইসব আধুনিক ধারার মাধ্যমের সাথে সহজেই মিশে যাচ্ছে, যা আগে অনেকের কল্পনার বাহিরেই ছিল। এই বিষয়টিতে অনেক কথা আপনি আগেও শুনেছেন হয়ত। আমার আগের দুটি ধারাবাহিক আলোচনায় যে বিষয়গুলো ছিল তা হলো- এই ফ্রিল্যান্সিং ক্ষেত্রে বাংলাদেশী নারীদের অংশগ্রহণ, কেন তারা পুরুষদের তুলনায় ভালো ফ্রিল্যান্সার।আজ থাকছে কিভাবে কাজ শুরু করবেন এবং নিজেকে দক্ষ ফ্রিল্যান্সার হিসেবে গড়ে তোলার জন্য কিছু কথা।

যেহেতু ফ্রিল্যান্সিং একটি মুক্ত ও স্বাধীন পেশা এবং এখানে একজন কোন কাজ করবে ও কোন প্রতিষ্ঠানের সাথে কাজ করবে তা বাছাই করার সুযোগ পায় তাই স্বাধীনচেতা নারী পুরুষ উভয়েই বেশ আগ্রহের সাথে এই পেশাকে গ্রহণ করছেন। তাছাড়া বিশেষ করে নারীদের ক্ষেত্রে ঘরের বাহিরে কাজ করা অনেক সময় নিরাপত্তার অভাব ও বিভিন্ন ধরনের সামাজিক প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করে বলে তাদের নিজস্ব ক্যারিয়ার তৈরি করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। ‘ফ্রিল্যান্স’ পেশা নারীদের এসব সমস্যার হাত থেকে বের হয়ে নিজের ক্যারিয়ার তৈরি এবং বিশ্ব অর্থনীতিতে অবদান রাখতে সাহায্য করে। ঘরে বসে বা যেকোনো জায়গায় যেকোনো সময় এই কাজগুলো করা যায়। এই ধরনের বিভিন্ন সুবিধার ফলে বাংলাদেশী নারীদের ফ্রিল্যান্স পেশায় আগ্রহ ও অংশগ্রহণ দিন দিন বেড়েই চলছে।

তাই বাংলাদেশ সরকারের উচিত প্রতিটি উপজেলায় ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ চালু করা। এর কিছু সুবিধা রয়েছে, যেমন

১।এতে করে আমরা নিজের দেশের টাকা নয় বাহিরের দেশের টাকা নিজের দেশে আনতে পারছি।

২। বাংলাদেশের বেকারত্বের হার কমবে।

৩। বাংলাদেশের  অর্থনীতি উন্নয়নে বিরাট ভুমিকা পালন করবে।

৪। যারা বেকার আছে তারা ঘরে বসেই অনলাইনে উপার্জন করতে পারবে।

এছাড়াও আরও অনেক সুবিধা পাবে আমাদের বাংলাদেশের শিক্ষিত বেকার।

আর আমি মনে করি আমার সোনার বাংলার অনেক উন্নতি সাধন লাভ করবে এই ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে।

No comments:

Post a Comment