বন্ধ হোক শিশু শ্রম বন্ধ হোক শিশু নির্যাতন

শ্রমিক নিয়োগে আমাদের সকলের একটি বিষয়ে লক্ষ্য রাখা জরুরী যে,শ্রমিক এবং নিয়োগকর্তাদের মধ্যে ভাল শিল্প সম্পর্ক ও সম্পর্ক উন্নয়ন বজায় রাখার দ্বারা উৎপাদনশীল কর্মসংস্থান এবং মানবসম্পদ উন্নয়নের মাধ্যমে বেকারত্ব ও দারিদ্র কমানো। আর সে ক্ষেত্রে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় নিদের্শ দেয়া আছে বাংলাদেশে ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত শিশুশ্রম নিরসন করতে হবে।
সরকারের রুলস অব বিজনেস অনুসারে শ্রম এবং কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের কার্যপরিধি নিম্নরূপঃ
শ্রমিকের নিরাপত্তা ও কমপ্লায়েন্স নিশ্চিতকরণ ;
শিল্প প্রতিষ্ঠানে কর্মসংস্থান ও সামাজিক নিরাপত্তা বিধান;
ট্রেড ইউনিয়ন, শিল্প ও শ্রম বিরোধ, শ্রম আদালত এবং নিম্নতম মজুরী বোর্ড বিষয়ক কার্যক্রম;
অকৃষি খাতে কর্মরত শ্রমিকগণসহ সকল শ্রমিকের কল্যাণ সাধন;
শ্রম পরিসংখ্যান সংরক্ষণ;
শ্রম আইনের প্রয়োগ ও এ সংক্রান্ত বিধিবিধান প্রণয়ন;
শ্রম পরিসংখ্যান সংকলনসহ শ্রম গবেষণা;
শ্রম ও জনশক্তি ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহের সাথে কাজ করা এবং চুক্তি সম্পাদন ;
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও)’র সাথে কার্যক্রমের সমন¦য় সাধন;
শ্রম ও শিল্পকল্যাণ সম্পর্কিত জাতীয় নীতিমালা প্রণয়ন;
শ্রমিক-কর্মচারীদের সামাজিক নিরাপত্তা এবং সামাজিক বীমা সম্পর্কিত বিধিবিধান প্রণয়ন;
শ্রম প্রশাসন ও প্রশিক্ষণ;
অত্যাবশ্যকীয় চাকুরী (ব্যবস্থাপনা) অধ্যাদেশ কার্যকর করা;
খনি ও পাথর ক্ষেত্রে নিয়োজিত শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও কল্যাণ সম্পর্কিত আইনের প্রয়োগ;
নিম্নতম মজুরী নির্ধারণ বিষয়ক বিধিবিধান প্রণয়ন ও প্রয়োগসহ ব্যক্তি মালিকানাধীন বিভিন্ন শিল্প সেক্টরে মজুরী বোর্ড গঠন ও নিম্নতম মজুরী বাস্তবায়ন;
শ্রমিকদের শিক্ষা কার্যক্রম;
শিল্পের শৃঙ্খলা রক্ষা;
শিল্প শ্রমিকদের কর্ম পরিবেশ সম্পর্কিত বিধিবিধান;
শ্রম ও শিল্পকল্যাণ সম্পর্কিত আইন ও নীতিমালা বাস্তবায়ন ও মূল্যায়ন;
শ্রমিকদের সামাজিক নিরাপত্তা সংক্রান্ত পদক্ষেপ গ্রহণ;
শ্রম ও শিল্পকল্যাণ বিষয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার কার্যক্রমের সমন্বয় সাধন;
ক)অসংগঠিত জনশক্তির পুনর্বাসন ও কর্মসংস্থান;
খ)অত্যাবশ্যকীয় জনবল (নিবন্ধীকরণ) অধ্যাদেশ, ১৯৪৮ বাস্তবায়ন;
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ দপ্তর ও সংস্থাসমূহের তদারকি ও নিয়ন্ত্রণ;
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কার্যপরিধিভুক্ত বিষয়াদির ক্ষেত্রে বিভিন্ন রাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক
সংস্থার সাথে যোগাযোগ রক্ষা করা;
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট কার্যপরিধিভুক্ত সকল আইন ও বিষয়াবলী;
মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত (কার্যপরিধিভুক্ত) যে কোন বিষয়ের উপর তদন্ত ও পরিসংখ্যান;
আদালতে গৃহীত ফি ব্যতীত শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কার্যপরিধিভুক্ত সকল ফি আদায়;
প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে নিয়োজিত শ্রমিকদের কল্যাণ সাধনের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের কার্যাবলী;
জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন পরিষদের কার্যাবলী; ।
বাংলাদেশে ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত শিশুশ্রম নিরসন সংক্রান্ত কার্যক্রম।

আমারা প্রতিদিনি আমাদের চারপাশে দেখতে পাই বিভিন্ন শ্রমের সাথে সম্পৃক্ত বহু শিশু শ্রমিক। আজ শিশুরা শ্রম দেয়া পযন্তই ক্ষান্ত নয় । সামান্যতম ভুলের কারনে অনেক শিশুদের ওপর নির্যাতন করছেন সে বাসা অফিসের মালিকেরা ।অথচ ওই সকল শিশুদের বয়স এখন হাতেখড়ি বা পাঠশালা যাওয়ার আর খেধূলার। অথচ শুধু পরিবারের অর্থের যোগান দিতে তাদের যেতে হচ্ছে বিভিন্ন কল কারখানা ও বাসাবাড়িতে শ্রম দিতে।আর সে সুযোগে অনেক শিশুদের নির্যাতনের শিকার হতে হচ্ছে ।অথচ এই শিশুরাই আমাদের আগামী দিনের কর্ণধার আগামী দিনের ভবিষ্যৎ ।বড় দুঃখের হলেও না বলে পারছি না অতিশয় বা দ্রুত যদি আমরা শিশুশ্রম বন্ধ না করতে
পারি তাহলে তাদের দিয়ে ভবিষৎ এর যে উজ্জল স্বপ্ন দেখি,তা কোন ভাবেই বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। সকলের মনে রাখতে হবে শিশুরা নিষ্পাপ,শিশুরা ফুলের মতো।

প্রতিটি শিশুই ফুলের মতো ফুটবার এবং সুন্দররূপে বিকশিত হবার বা বেঁচে থাকার আছে অধিকার । বড় কষ্টের বিষয় হল সম্পদের অসম বণ্টন এবং সামাজিক অসংগতির শিকার হচ্ছে আমাদের চারপাশেই থাকা অনেক শিশু । যাদের কথা কলম ধরার অথচ সেই সকল কচি হাতগুলো হয়ে ওঠছে শ্রমের হাতিয়ার। গাছ লাগিয়ে শুধু ফলের আশা করলে হবে না,গাছের পরিচর্যাও প্রয়োজন,গাছের যেমন পরিচর্যা করা হবে গাছ তেমন ফলই দিবে । সুতারং আমরা যদি আজকের শিশুদের আগামির ভবিষৎ ভাবি তাহলে তাদের প্রতি আমাদেরও যত্নশীল হতে হবে শিশুদের লেখাপড়া শিখিয়ে বড় হওয়ার সুযোগ দিতে হবে তবেই তাদের কাছে ভবিষৎ ভালো কিছু আশা করা যাবে ।আমাদের মনে রাখতে হবে আজকের এই শিশুরাই ভবিষৎ প্রজন্মকে পরিচালনা করবে । আর সে শিশুরাই যদি পরে থাকে অবহেলিত হয়ে তাহলে কি করে গড়বে তারা আগামী প্রজন্মকে ? তাই এগিয়ে আসুন শিশু শ্রম বন্ধ করি আর আগামীতে একটি সমৃদ্ধির বাংলাদেশ গড়ি ।